স্টাফ রিপোর্টার :
অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়নের সভাপতি পদ বুঝে পেয়েছেন শ্রমিক নেতা কাউসার আহমেদ পলাশ। হাইকোর্টের দেয়া ৩ মাসের স্থগীতাদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে আপিল করার পর গত ৪ এপ্রিল পলাশের পক্ষে রায় ঘোষণা হয়। এতে হাইকোর্টের দেয়া তিন মাসের স্থগীতাদেশটি বাতিল হয়। ফলে আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়নের সভাপতি পদে কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে আর কোন বাধা নেই পলাশের।
জানা গেছে, গত ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ট্রাক মার্কায় সভাপতি পদে জয়লাভের পরও ঠিকঠাক দায়িত্ব বুঝে পাওয়া হয়নি কাউসার আহমেদ পলাশের। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালগাছ মার্কার তাজুল ইসলাম অগঠনতান্ত্রিক আচরণ ও হট্টগোল করায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি এই পদে বিজয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে ঘোষিত তারিখেও ফলাফল ঘোষণা করা যায়নি। পরে ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখে পূনরায় ভোট গণনা হয়। সেসময় হলফনামায় এই মর্মে স্বাক্ষর হয়েছিল যে, ভোটে হেরে গেলেও মামলা মোকদ্দমায় যাবেন না পরাজিত প্রার্থী। আর যিনি মামলায় যাবেন, তার সদস্য পদও বাতিল করা হবে।
অতঃপর ভোট গণনায় দেখা যায়, প্রতিদ্বন্দ্বী তালগাছ প্রতীকের তাজুল ইসলামের চেয়ে ৮৬ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন করা হয়েছে পলাশ। পরে পলাশকে সংগঠনটির সভাপতি হিসেবে ঘোষণা দেন সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের সভাপতি শাহজাহান খান এমপি।
তবে, পরাজিত হয়েও নবনির্বাচিত সভাপতির কর্যক্রমের উপর হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন তালগাছ প্রতিকের প্রার্থী তাজুল ইসলাম। এর প্রেক্ষিতে সভাপতির কর্যক্রমের উপর ৩ মাসের স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট। এর বিপরিতে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে আপিল করেন নবনির্বাচিত সভাপতি কাউসার আহমেদ পলাশ। গত ৪ এপ্রিল উভয় পক্ষের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক ও শুনানী শেষে হাইকোর্টের দেওয়া স্থগীতাদেশটি বাতিল করেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। ফলে দীর্ঘ সংগ্রামের পর কাউসার আহমেদ পলাশ বুঝে পেলেন বাংলাদেশ আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়ন নির্বাচনে সভাপতির পদটি।